একটা অপেক্ষামান ভালোবাসার চিঠি!

আজকে শুক্রবার, ১১ই অক্টোবর, ২০১৩।

সকালে ঘুম থেকে উঠলাম ৯টা ১০এ, গোসল করে নামাজ পরে, নাস্তা খেতে খেতে বাজলো ১০টা ২৫। নাস্তা খুবই জঘন্য হইসে, কোন মতে একটা রুটি খাইসি আলুভাজা দিয়ে। ছুটির দিনের জন্য জমায় রাখা মরডান ফ্যামিলির নিউ এপিসোড টা ছাড়লাম, ভালো লাগলো না! ৪/৫ মিনিট পর বন্ধ করে ডেন ব্রাউনের ইনফারনো পড়তে বসলাম, ৩/৪ পৃষ্ঠা পরার পর, বোর লাগতেসিল, বন্ধ করে উঠে পড়লাম! ভাবলাম এক কাজ করি, এম্পায়ার আর্থ টু খেলি, শুরু করলাম, অনেকটা জোর করে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো খেললাম! জঘন্য গেম! একদম ফালতু! বোরড! কি করা যায়, ভাবতেসি! আজান দিসে অনেকখন আগে, গেলাম নামাজ পরতে। নামাজ পরে বাসায় আসলাম ২টার সময়, ভাবলাম এক কাজ করি, জনি ডেঁপের লোন রেঞ্জার মুভিটা দেখি! যেই চিন্তা সেই কাজ, চালু করলাম, এতো এনটিসিপেটেড মুভি কিন্তু কেমন জানি জমতেসে না! ৮/১০ মিনিট দেখার পর আর পারলাম না! এর মধ্যে আম্মু ডাকতেসে খাওয়ার জন্য! গেলাম! খাইতে বসেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেলো! খাবার কেমন জানি পাইনশা! জঘন্য লাগতেসে! লাল শাক দিয়ে কোনমতে একটুখানি খেয়ে উঠে গেলাম! আম্মু আব্বু দুই জনই প্যান প্যান করতেসে! পাত্তা না দিয়ে রুমে এসে আসিফ এন্তায রবির “কাগজের নৌকা” বইটা হাতে নিলাম পরবো বলে, কিন্তু আবার সেই একই সমস্যা ভালো লাগে না। ৬/৭ পাতার বেশী পরতে পারলাম না কোন ভাবেই! কি করবো? শেষ অস্র টা ছাড়লাম ল্যাপটপে “বিগ ব্যাং থিওরির লেটেসট এপিসোড”, শেলডন কুপার আমাকে অনেক বার এই ধরনের সিচুএশন থেকে রক্ষা করসে! কিন্তু একই হইলো! হায় হায়! ভালো লাগে না! চরম বিরক্তিকর! এরমধ্যে ঠিক মতো না খাওয়ার কারনে গ্যাস হয়ে মাথা বেথা শুরু হয়ে গেসে! হঠাৎ মাথায় চরম একটা আইডিয়া আসলো, কাজী আনোয়ার হসেইনের মাসুদ রানাই এখন দিতে পাবে আমাকে শান্তি! সংগে সংগে বের হয়ে গেলাম গুলশান ২য়ে জাবার জন্য! এক ঘণ্টার মধ্যে আমি আমার রুমে বিছানায় বসা আর আমার সামনে চার চারটা কড়কড়ে নতুন মাসুদ রানা। সেই কুয়াশা, টেররিষ্ট, আগুন নিয়ে খেলা আর সর্বনাশের দূত। ভয়াবহ একটা ব্যাপার ঘটলো পরবর্তী এক ঘণ্টায়! চারটা বইয়ের সবগুলা পরে ফেললাম অল্প অল্প করে একএকটার থেকে একএকটা ফালতু! কি করবো! চুপ করে তো বসে থাকা যায়না! আবার বের হলাম, উদ্দেশ্য যমুনা ফিউচার পার্ক। ঢুকেই ফিফথ ফ্লোরে এসে ইস্তাম্বুল রেসটুরেন্ট এ অর্ডার দিলাম ডোনার কাবাবের উইত পিটা ব্রেড এন্ড সালাদ! খাবার আসলো, অনেক খিদা, সকাল থেকে কিছুই খাই নাই! গ্যাসের কারনে মাথা বেথা করতেসে, ঝাপায় পড়লাম খাবারের প্লেটে, ও মাই গড!!! ওদের রুটি মনে হইতেসে কার্পেট,  কাবাব মনে হইতেসে যেন কাঁচা মহিষের মাংস আর সালাদ পুরা শিট। মন খারাপ করে উঠে গেলাম! একলা একলা হাটতেসি পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ শপিংমলে, ছুটির দিনে, হাজার হাজার মানুষের মাঝে, একা, ক্লান্ত, বিরক্ত, হতাশ ও ক্ষুদারথ। হঠাৎ সামনে পরল ব্লকবাসটার সিনেমা, রায়ান রেনলডসের আরআইপিডি থ্রিডি চলতেসে, রায়ান রেনলডস আমার প্রিয় মানুষের পছন্দের নায়ক আর আমারও খারাপ লাগেনা! টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম! জীবনের প্রথম থ্রিডি সিনেমা দেখব, এক্সসাইটেড!!! ওমা! একি! কোন ভাবেই ভালো লাগতেসে না! ২৫/৩০ মিনিট পর বের হয়ে গেলাম! প্রচণ্ড খিদা আর মাথা বেথা! সোজা চলে গেলাম বাসায়! আর এই যে আমি লিখছি এখন বাজে রাত ১টা ৩৭, যমুনা থেকে আসার পর খাওয়ার, গান শুনার, বই পড়ার, ম্যাট ডেমোনের ইলিসিয়াম মুভিটা দেখার ট্রাই করলাম, কোনটাই হলনা! এমনকি টু এন্ড হাফ ম্যান ও দেখার ট্রাই করসি কিন্তু খুবই ফ্ল্যাট লাগসে। এই ছিল আমার ১০ দিনের ঈদের ছুটির প্রথম দিন! জানি না বাকি ৯ দিন কিভাবে কাটবে! ভালো থাকো! তুমি তো প্রায়ই বল যে আমার একটা নিজের দুনিয়া আসে, যেটা নিয়া আমি বিজি থাকি!!! আমার দুনিয়া নিউইয়র্ক শহরে! আমার থেকে আমার দুনিয়া দূরে আসে অনেক দিন ধরে! আমার দুনিয়া আমি শেষ ছুয়ে দেখসি সেই ১৫ই জুন ২০১১ তে! আমি আর পারতেসিনা! মাত্র ২৮ মাস আগে। সব্বাই বলে সময় দেখতে দেখতে চলে যায়, আমার যায় নাই! এই ২৮ মাসের প্রত্যেকটা দিন আমার আজকের মতই কাটসে!

ঈদ মোবারক

একজন ক্রিকেট ফ্যানাটিকের স্বপ্ন পুরন!

খুবই মিস করি, ফারুক মামার সাথে খেলা দেখতে যাওয়া, পুরা একটা রিলিজিয়াস প্রসেসের মতো ব্যাপার-সেপার, গুলিস্থানে গিয়ে ভোরবেলা, “বেঁকো” রেস্টুরেন্টে অসম্ভব মজার চা খাওয়া, তারপর আর একটা স্পেসিফিক “নাম ভুলে যাওয়া” রেস্টুরেন্টে গিয়ে খিচুরি খেয়ে খেলা দেখতে ঢুকা, পুরা খেলা চলাকালে যত কিছু আছে সব খাওয়া (চা, কফি, সোডা, ঘুগনী, ঝালমুড়ি, হট পেটিস, ছোলা, আইসক্রিম, শসা, আমড়া, কাঁচা আম ভর্তা, বাদাম ইত্যাদি), খেলার মাঝপথে প্রিন্স বা নবান্নর কাচ্চি বিরিয়ানি, খেলা চলাকালে এক অন্ধ ফকির আসতো, এই ফকিরটা এত্ত জনপ্রিয় ছিল যে ওর সিগনেচার টাকা চাওয়ার ডাকটা আমরা নিয়মিত দর্শকরাই ডেকে দিতাম, “আমি আইছিইইইইইই”, ঢাকাইয়া দর্শকদের লুঙ্গি ঝারা দিয়ে ‘কুফা’ ছুটানো, খেলা শেষে ঠাটারি বাজারের ‘স্টার’ অথবা জয়কালী মন্দিরের ‘সুপার’ রেস্টুরেন্টে সেরাম মামা-ভাইগ্না খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় যাওয়া! আর অনেক এক্সসাইটেড থাকতাম খেলা দেখে আসলে, রাতে শুয়ে শুয়ে ভাবতাম, ইন শা আল্লাহ আমরা একদিন ‘এ’ দল না, টেস্ট প্লেয়িং দেশ গুলোর জাতীয় দলের সাথে নিয়মিত খেলব আর জিতব! আজকে সেই দিনগুলোর একটি বিশেষ দিনে ফিরে যেতে চাই। ঢাকা স্টেডিয়ামে বসে দেখা শত শত খেলার মাঝে সেরা খেলা ছিল এটাই। ২৬শে ডিসেম্বর ১৯৯৪, সার্ক ক্রিকেটের ফাইনাল, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠল! খেলা ইন্ডিয়া ‘এ’ দলের সাথে, শেষ দুই বলে ইন্ডিয়া ‘এ’ দলের দরকার ছিল দুই রান, বাংলাদেশের দরকার ছিল একটা উইকেট, আমরা কনফিডেনট ছিলাম না, কিন্তু রফিক স্ট্যাম্পড করে দিলো ভেনকাটেঁস প্রসাদকে! আউট হওয়া মাত্র লাফানো আর চিৎকার শুরু করলাম, কি সেই অদ্ভুত অনুভূতি! সেদিন টের পেলাম জাতীয়তাবাদ কতো বড় ড্রাগ, বুঝতে পারলাম ব্রিটিশ ফুটবল ফ্যানদের স্পোর্টস ফানাটিসিসম! খেলা শেষে আমি আর ফারুক মামা বের হয়ে দিলকুশায় আসতেই দেখা হল বড় খালুর সাথে, উনি একজন বিখ্যাত জাতীয় হকি খেলোয়াড়! উনি আমাদের কাসে শুনে কোন ভাবেই বিশ্বাস করতে পারছিলেননা ইন্ডিয়া ‘এ’ দল বাংলাদেশের কাছে হেরেছে। উনি ভাবছিলেন উনার শ্যালক ফাইযলামি করছে! উনি জিজ্ঞেস করেছিলেন, কতো গুলি এল বি ডব্লিউ দেয়া হইসে!!! সেই বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম এখন হোম সিরিজে পর পর দুইবার, হেডলি আর মারটিন ক্রোর নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াস করে! কয়টা মানুষ বলতে পারবে তার ছোটবেলার একটা অসম্ভব স্বপ্ন পুরা হয়েছে! আল্লাহ এই পোলাপাইন গুলারে ভালো রাইখ! আমীন!

http://www.pcb.com.pk/saarc-quadrangular-199495/match/5665.html

অহিংস আন্দোলনের আইডিয়া

দেশ ও জাতি আজকে এক কঠিন সময়ের মুখামুখি! দেশের জনগনের একটি বড় অংশ নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবীতে আন্দোলন রত। এই আন্দোলন অনেক ক্ষেত্রেই সহিংস হয়ে উঠছে এবং জনজীবন ও অর্থনীতি স্থবির হয়ে যাচ্ছে! এমত অবস্থায় দেশের সুশীল ও প্রগতিশীল সমাজ এই প্রথম বাংলাদেশে এই ধরনের নজিরবিহীন হরতালের পর হরতাল, সামনে অবধারিত ভাবে এগিয়ে আসা অবরোধ ও অসহযোগের কথা ভেবে প্রচণ্ড রকম আতংকিত হয়ে পরছেন! কিন্তু কেউ বলছেন না, আমাদের এই “কনফ্রনটেশনাল” রাজনীতির দেশে কিভাবে অহিংস আন্দোলন ও কর্মসূচীর আয়োজন ও পালন করা যায়। তাই একজন সুশীল না হয়েও চুপ থাকতে পারলাম না। তাই এগিয়ে এলাম কিছু অহিংস আন্দোলনের আইডিয়া নিয়ে! আমি আমার সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে চেষ্টা করেছি কিছু অহিংস আন্দোলনের আইডিয়া এবং আইদিয়া গুলোর মেরিটস আর ডিমেরিটস নিয়ে। চলুন তাহলে শুরু করা যাকঃ

এক – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা তাদের পুরুষাঙ্গ কেটে প্রতিবাদ জানাতে পারেন, এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা, তা হল পরবর্তী প্রজন্মে নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুজে পাওয়া একটু কষ্টকর হয়ে যেতে পারে!

দুই – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা তাদের সারা দেহ স্কচটেপ বা ব্যান্ডেজ দিয়ে পেঁচিয়ে (মমির মতো) প্রতীকী প্রতিবাদ করতে পারেন। এক্ষেত্রে সমস্যা হল পুলিশ এসে পরলে, পালানোর জন্য দৌড় দাওয়ার কোন সুযোগ নেই। মানববন্ধনে পুলিশের আক্রমন আমরা দেখেছি তাই এই সম্ভাবনা উরিয়ে দেয়া যায় না।

তিন – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা সুপারহিরোদের কস্টিউম পরে প্রতিবাদ সমাবেশ করতে পারেন! সব্বাই একটি নির্দিষ্ট দিনে স্পাইডারম্যান, সুপারম্যান, আইরনম্যান, থর, হাল্ক, ব্যাটম্যান, গ্রিন হরনেট, ফ্ল্যাশ, ক্রিশ (বালের সুপার হিরো), সিক্স মিলিয়ন ডলার ম্যানদের কস্টিউম পরে রাস্তায় বের হয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা, চেতবাজ শিল্পীরা বলে বসতে পারেন, “পোশাকের উপর অন্তর্বাস পরে আর যাই হন বাঙালী হতে পারবেন না”।

চার – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় “ফ্ল্যাশ মব”এর আয়োজন করতে পারেন প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে! যখন ১০০র উপরে জনগন কোন খোলা জায়গায় একটি নির্দিষ্ট গানের তালে সিংক্রনাইজড ড্যান্স করে তখন তাকে “ফ্ল্যাশ মব” বলে! এক্ষেত্রে একটাই সমস্যা, যেই গানই আপনি ব্যাবহার করেন না কেন, সুশীল শিল্পীরা সেই গানের ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস নিয়ে মামলা করে বসতে পারেন! সেক্ষেত্রে আসিফ আকবরের “দেশ দেশ দেশ, শাবাশ বাংলাদেশ” অথবা “ও প্রিয়া ও প্রিয়া তুমি কোথায়” গানগুল নির্বাচন করলে এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

পাঁচ – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় “গনস্নান”এর আয়োজন করতে পারেন প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে! সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদী জনগন জড়ো হয়ে প্রতীকী গণগোসল করতে পারেন। এক্ষেত্রে নারী এবং মেয়েলী পুরুষরা মরিমলের মতো শিক্ষক অথবা ছাত্রলীগ বা যুবলীগের “হরনী” নেতা কর্মীদের আক্রমনের শিকার হতে পারেন।

ছয় – সমস্ত নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় “গন কার ওয়াস”এর আয়োজন করতে পারেন প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে! সারা দেশের প্রতিবাদী জনগন সড়কে মহাসড়কে নেমে এসে সাধারণ জনগনের গাড়ি বিনামূল্যে ধুয়ে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে সমস্যা হল, বাংলাদেশের পরিবহন শ্রমিকদের নয়নের মনি “চোখ তুইলা নিমু” বা “বঙ্গবন্ধু মদ জুয়া হারাম করেছেন” খ্যাত “তাজমহল” খান যদি ঘোষণা দিয়ে বসেন, শ্রমিক ভাইরা আপনারা যেখানেই “গন কার ওয়াস” পার্টি কে দেখবেন সেখানেই তাদের গাড়ি চাপা দিবেন, তাহলে দেশজুরে ৫ই মে এর থেকেও ভয়াবহ একটা মেসাকারের সম্ভাবিটিলি আছে!

সাত – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা পুরো দেশ জুরে “প্রধানমন্ত্রী বরাবর চিথি লেখা”এর আয়োজন করতে পারেন প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে! সারা দেশের প্রতিবাদী জনগন নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখতে পারেন। লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি চিঠি! এক্ষেত্রে সমস্যা একটাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ তার সীমিত লোকবল নিয়ে এতো চিঠি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জীবনদশায় তার কাছে পউছে দিতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েই যায়। এছাড়া ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন থ্রিজি নিয়ে এমনেই অনেক প্রেসারে আছেন, এই মুহূর্তে উনাকে এরকম একটি ঝামেলায় ফেলার আগে ৪৮ ঘণ্টা চিন্তা করে নেয়া উচিৎ!

আঁট – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা পুরো দেশ জুরে “গন প্রেঙ্ক কল”এর আয়োজন করতে পারেন প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে! নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা তাদের মোবাইল ফোন থেকে পরিচিত মানুষদের কল করে বলতে পারেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবী মেয়ে নিয়েছেন”। স্বাভাবিকভাবেই আশা করা যায়, কিছুক্ষণের মধ্যেই সারা দেশের মানুষ খুশিতে রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস শুরু করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে সমস্যা একটাই বিশেষ আইনের ৫৭ ধারা! আপনি যেহেতু এই লেখাটি অনলাইনে পরছেন তাই আর এক্সপ্লেইন করলাম না।

নয় – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা পুরো দেশ জুরে “গন নগ্ন প্রতিবাদ”এর আয়োজন করতে পারেন প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে! নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা তাদের পরিধেয় বস্র পরিত্যাগ করে রাস্তায় ছোট ছোট দল বেঁধে দাড়িয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করতে পারেন। এক্ষেত্রে দুটি সমস্যা হবে প্রথমত নারী এবং মেয়েলী পুরুষরা মরিমলের মতো শিক্ষক অথবা ছাত্রলীগ বা যুবলীগের “হরনী” নেতা কর্মীদের আক্রমনের শিকার হতে পারেন, দ্বিতীয়ত হেফাজতে ইসলাম নাস্তিক না বলে ডাইরেক্ট “কাফের” ঘোষণা করে জিহাদে নেমে পরতে পারেন! মনে রাখবেন কয়দিন আগেই ঈদ উল আযহা উজ্জাপিত হল, তাদের পশু কোরবানি দেওয়ার বড় বড় ছুরি গুল এখনো “টিপটপ” কন্ডিশনে আছে! তবে এই প্রতীকী প্রতিবাদে অনেক নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিরোধীদের যোগ দাওয়ার সম্ভাবনা আছে, যেমন সমস্ত যৌন উত্তেজক গল্পের পাঠক ও লেখক, নাটক ও গান পাড়ার আধবোজা ঢুলুঢুলু চোখের শিল্পীরা, শিল্পমন্ত্রী দিলিপ বড়ুয়া, প্রভা, রোকেয়া প্রাচী এন্ড প্রগতিশীল গ্যাং ইত্যাদি ইত্যাদি।

দশ – নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থকরা ঢাকায় “দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই শীর্ষক মহাসমাবেশ”এর আয়োজন করতে পারেন। এক্ষেত্রে মহাসমাবেশের শুরুতেই “চোখ পালটি” মেরে মহাসমাবেশকে নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবীর মহাসমাবেশে রুপান্তর করতে পারেন! এক্ষেত্রে “চোখ পালটি” মারার “আন্তর্জাতিক কপিরাইট আইন” অথবা “আন্তর্জাতিক প্যাটেন্ট আইন” লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে!
দয়া করে এই লেখাটি কেউ সিরিয়াসলি নিবেন না! এক মাত্র মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষই এই লেখাটিকে সিরিয়াসলি নেয়ার চেষ্টা করতে পারেন। এটি একটি ফিকশন (কাল্পনিক গল্প) মাত্র, এই লেখার সাথে কোন জীবিত, মৃত বা আসন্ন মৃত বেক্তি, দেশ, প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল ইত্যাদির কোন সামান্যতম যোগাযোগ নেই! ধন্যবাদ!